যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

1 month ago 8

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় মির্জা সাখাওয়াত হোসেন (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বেগম এ রায় দেন।

রায়ে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার উত্তর মিঠাপুকুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ বছর আগে সাখাওয়াতের সঙ্গে ফাতেমা নাসরিনের (৪৫) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে সামিহা তাবাসসুম (১৭) নামে এক সন্তান ছিল। স্বামী সাখাওয়াত বিভিন্ন সময়ে ঠাকুরগাঁও শহরে থাকা স্ত্রীর পৈতৃক জমি বিক্রয় করে এক কোটি টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। তবে যৌতুক না দেওয়ায় দিন দিন স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে ভুক্তভোগী ফাতেমা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী জামিনে এসে পুনরায় যৌতুকের টাকার জন্য ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ন রোডের বাসায় ফাতেমা নাসরিনের কাছে মির্জা সাখাওয়াত হোসেন যৌতুকের টাকা চান। ফাতেমা প্রতিবাদ করলে ধারালো বটি ও মশলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে তার মাথা, হাত ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড়বোন আরজিনা বেগম রাজধানীর আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এমআইএন/বিএ/জেআইএম

Read Entire Article