বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ শিক্ষার্থীকে হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান মোল্যা এ নির্দেশ দেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান মোল্যা বলেন, অভিযুক্তরা রোববার রাতে নবীন ছাত্রদের র্যাগিং করেছে। তথ্যের ভিত্তিতে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শনাক্ত করেছি। অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকারও করেছে। প্রক্টর, হলসমূহের প্রভোস্ট, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের ৭ নম্বর ধারা মোতাবেক তাদেরকে হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের ২৮ জন এবং অন্য হলের ২৫ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। অ্যাটাচ ২৮ জনের মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা প্রথম গত ১২ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করে। এর ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও ব্যবস্থা নেবে।
সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স। যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এর প্রেক্ষিতে আমরা ৫৩ জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের মধ্য থেকে যাদের হলে পেয়েছি প্রভোস্টের ক্ষমতাবলে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বোর্ড অফ রেসিডেন্স কমিটির নিকট প্রভোস্ট তাদের বিরুদ্ধে চিঠি প্রদান করবে। পরবর্তীতে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
আসিফ ইকবাল/এফএ/জেআইএম