গুমের অভিযোগে র্যাব-২ এর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই প্রথম কাউকে ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা যথাক্রমে মহিউদ্দিন ফারুকী ও আলেপ উদ্দিনকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মূলে আজ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তাদের দুজনকে পরবর্তী হাজিরের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে এই দুইজনের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন
- সাবেক র্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকীর বিচার দাবি
- সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ দুই দিনের রিমান্ডে
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেদিন শুনানি শেষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, সাবেক দুজন র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাপ্লিকেশন করেছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে দুটি আবেদন করা হয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় এ দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার আছেন।
গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একই দিন ভোরে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেফতার করা হয়।
এফএইচ/এসআইটি/এমএস