রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বদরগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দোকান ঘরের মালিক ও ভাড়াটিয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর বিএনপির ওই দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু। দখলদারত্ব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।
জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম