রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজসহ কিছু সবজির দাম। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে পোলট্রি মুরগি ও ডিমের। এছাড়া চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫-৭০ টাকা।
সিটি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজেরও সরবরাহ কমে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
মরিচ বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম। এ কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে।
এছাড়া টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫০-১৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০-২২০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫-৫০ টাকা, ঝিংগা ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪৫-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, সজনে আগের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, গোল বেগুনের দাম বেড়ে ৮০-৯০ টাকা, ঢেড়স ৩৫-৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২০-৩০ টাকা, শসা ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকার ভেদে) ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৫৫-৬০ টাকা, কচুর বই ৩০-৩৫ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্য দিকে দেশি আদার দাম কিছুটা কমে ২৬০-২৮০ টাকা থেকে হয়েছে ২৪০ টাকা , আমদানি করা আদা ২২০-২৪০ টাকা থেকে কমে ২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১২০-১৪০ টাকা থেকে কমে ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকা থেকে কমে ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল গফুর জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে সবজি বাজারে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া বাজারে সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় কমে গেছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়ে ১৭০-১৮০ টাকা থেকে ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি৩১০-৩২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২০-৩৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/এমএস