রশির সূত্র ধরে যেভাবে বেরিয়ে এলো শিশু জায়ান হত্যার রহস্য

ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় শিশু জায়ান হত্যায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী ইউনুস মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে আসামিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. ইউনুস মোল্যা (৪৬) ইউনুস শিশু জায়ান রহমানের প্রতিবেশী। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে। এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) তার নিজবাড়ি থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।  জানা গেছে, মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে আবির্ভূত হয় শিশুটির ঝুলন্ত দড়ি। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ইউনুস মোল্যা একটি রশি কিনেছিলেন, যা উদ্ধার হওয়া রশির সঙ্গে মিল রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইউনুসকে সন্দেহের ত

রশির সূত্র ধরে যেভাবে বেরিয়ে এলো শিশু জায়ান হত্যার রহস্য
ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় শিশু জায়ান হত্যায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী ইউনুস মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে আসামিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. ইউনুস মোল্যা (৪৬) ইউনুস শিশু জায়ান রহমানের প্রতিবেশী। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে। এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) তার নিজবাড়ি থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।  জানা গেছে, মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে আবির্ভূত হয় শিশুটির ঝুলন্ত দড়ি। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ইউনুস মোল্যা একটি রশি কিনেছিলেন, যা উদ্ধার হওয়া রশির সঙ্গে মিল রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইউনুসকে সন্দেহের তালিকায় এনে হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পুলিশের দাবি, এ অস্বীকার তাদের সন্দেহ আরও জোরালো করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরির্দশক (এসআই) সুজন বিশ্বাস বলেন, কারাগারে গ্রেপ্তার রেখে মামলার নিবিড় তদন্তের স্বার্থে এবং হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। আলফাডাঙ্গা থানা ওসি মো. শাহজালাল আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে কিছুটা সম্পৃক্ততা ও দড়ি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ইউনুস মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছি, আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের আবেদন মঞ্জুর করলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করব। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow