রাকসুতে ৩০ হাজার ভোট, ম্যানুয়ালি গণনার দাবি ছাত্রদলের

2 days ago 4

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করাসহ ১২ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন ছাত্রদল ও রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ নামে দুটি প্যানেলের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব প্রস্তাবনার কথা জানান।

দুটি প্যানেলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রশিবির নিয়ম ভেঙে হলে হলে শিক্ষার্থীদের আতর, খাবারসহ নানা উপঢৌকন দিচ্ছে। এমনকি ব্যালট নম্বর প্রদানে তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটিকে আচরণবিধির লঙ্ঘন এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ঘাটতি।

এসময় ছাত্রদল ও রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জসহ সমন্বিত প্যানেলগুলো ১২ দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও ভোট শুরুর আগে সাংবাদিক ও এজেন্টদের উপস্থিতিতে তা উন্মুক্ত করা, ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার, একদিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ, ম্যানুয়াল ভোট গণনা, নির্বাচনী খরচ ও পোস্টারের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, ব্যালট ছাপানো ও বাঁধাই পর্যন্ত এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত বুথের ব্যবস্থা, ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নম্বর প্রকাশ, সাইবার বুলিং প্রতিরোধে কার্যকর সেল গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বিভ্রান্তিকর পেজ-গ্রুপ বন্ধ করা, ভোটের দিন ভোটার তালিকা হাতে ধরিয়ে না দেওয়া।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত হাজার ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার ফলে অনেক ভোগান্তি হয়েছে। রাবিতে ৩০ হাজার ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করা হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাকসু ফর রেডিক্যাল প্যানেলের মেহেদী মারুফ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে দেখেছি ইভিএমের মাধ্যমে কীভাবে ভোট কারচুপি করা হয়, রাকসুতেও এমন হতে পারে। এছাড়া ইভিএমে ক্যারিক্যাচার করার মাধ্যমে ভোট কারচুপি হতে পারে। আমরা চাই, প্রশাসন বেশি জনবল নিয়োগ করে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করুক।’

ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হলে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, দীর্ঘদিন পর যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, তাই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আমরা স্বচ্ছ ভোট বাক্স স্থাপন, ম্যানুয়ালি ভোট গণনাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এই ১২ দফা দাবি জানিয়েছি।’

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article