রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস সরগরম। তফসিল অনুযায়ী- বুধবার (২০ আগস্ট) থেকে রাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণের কথা ছিল। তবে অনিবার্যকারণে তা স্থগিত করেছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
তার মধ্যেই এবার নতুন ‘দুঃসংবাদ’। রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এম আমজাদ হোসেনকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদস্য পদে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবিধানিক পদে নিয়োগের পর তিনি আর রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে, তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনের পথে অনেকদূর এগোনোর পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে পরিবর্তন এলে ঘোষিত ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট নয় খোদ অধ্যাপক আমজাদ হোসেনও। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জেনেছি নিয়োগের কথা। অবশ্য একদিন আগে আমাকে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল। এখন এ অবস্থায় করণীয় কী, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
পিএসসির সদস্য নিয়োগের পর আগামী সপ্তাহে শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে। সেক্ষেত্রে অধ্যাপক আমজাদ হোসেন আদৌও রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘উনি পিএসসির সদস্য পদে যোগদানের আগ পর্যন্ত রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। এখন উনি কবে শপথ নেন, যোগদান করেন; সেটা জানার বিষয়। এ নিয়ে প্রশাসন দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে।’
রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন দুজন শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, আজকে (বুধবার) মনোনয়নপত্র বিক্রির কথা ছিল। সেটা অনিবার্যকারণে স্থগিতের পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, এটির পেছনে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা কারণ নেই। শিক্ষার্থীরা আবার আশান্বিত হয়েছিল। কিন্তু এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার পিএসসিতে নিয়োগ পাওয়ায় নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হলো। আশা করি, প্রশাসন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবে।
এএএইচ/এমএএইচ/