রাঙ্গামাটিতে কাজুবাদামে আশাবাদী চাষিরা

3 months ago 50

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে কাজুবাদাম চাষ শুরুর ৩ বছরের মধ্যে গাছে গাছে ফলন আসা শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় চাষাবাদের পর ফলন আসতে থাকায় চাষি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং উচ্চ মূল্যের ফসল হওয়ায় পাহাড়ি মাটিতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কাজুবাদাম ও কফি চাষ শুরু হয়। এর মধ্যে উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়ায় কাজুবাদামের কয়েকটি বাণিজ্যিক বাগান স্থাপন করা হয়। এ বাগানে রাইখালী ইউনিয়নের ১০ কৃষকের ৫০ একর জমিতে প্রায় ৭ হাজার এম-২৩ জাতের কাজুবাদাম গাছের চারা রোপণ করা হয়।

চাষি সাজাই প্রু মারমা ও অনুপম চাকমার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, কাজুবাদাম গাছগুলো পরিণত হয়ে উঠেছে। গাছে গাছে ধরেছে ফল। পাহাড়জুড়ে রং-বেরঙের কাজু আপেলের সাথে কাজুবাদাম ঝুলে আছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গাছে এ বছর ফল আসে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করায় কাজুবাদাম নিয়ে চাষিরা আশাবাদী।

চাষি সাজাই প্রু মারমা বলেন, ‘আমার বাগানে কাজুবাদামের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আমরা কাপ্তাই কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ চাষ করেছি। আশা করছি আমরা লাভবান হবো।’

রাঙ্গামাটিতে কাজুবাদামে আশাবাদী চাষিরা

চাষি অনুপম চাকমা বলেন, ‘কাপ্তাইয়ের ১০ জন কৃষক মিলে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৫০ একর জমিতে প্রায় ৭ হাজার এম-২৩ জাতের কাজুবাদাম গাছের চারা রোপণ করি। যাতে এখন ফলন আসতে শুরু করেছে। এ বছর যে গাছগুলোয় ফলন আসেনি; আগামী বছর সেগুলো ফলনে ভরপুর হয়ে উঠবে বলে আশা করছি।’

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার ইমরান আহমেদ বলেন, ‘পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এবং উচ্চমূল্যের ফসল হওয়ায় পাহাড়ি মাটিতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে কফি ও কাজুবাদামের চাষ করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে পাহাড়ে আরও বেশি কাজুবাদাম চাষ হবে।’

সাইফুল উদ্দীন/এসইউ/জেআইএম

Read Entire Article