রাজধানীতে দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

3 months ago 20

রাজধানীর বনানী ও মুগদা এলাকা থেকে দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, তানিয়া আক্তার (২০) ও সুবর্ণা আক্তার (২০)।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোজিনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে বনানী কড়াইল বস্তির বরিশাল পট্টির বাচ্চু মিয়ার বাড়ি থেকে তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য আজ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মাস ছয়েক আগে তানিয়ার বিয়ে হয়েছে। কোনো বিষয়ে নিয়ে স্বামী উজ্জ্বলের সঙ্গে তানিয়ার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে উজ্জ্বল তাকে মারধর করলে অভিমান করে গলায় ফাঁস দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, তানিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কালীপুরা গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে বনানী কড়াইল বস্তির বরিশাল পট্টির বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।

অপরদিকে, মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার সিমা বলেন, শুক্রবার দিনরাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে উত্তরমান্ডা ছাতা মসজিদ গলি এলাকার একটি বাসা থেকে সুবর্ণা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্বামী আবদুল মান্নানের সঙ্গে মায়ের বাড়ি বেড়াতে যান সুবর্ণা। সেখান থেকে সুবর্ণাকে নিয়ে স্বামী তার বড় বোনের বাড়িতে যেতে চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্বামীর ঝগড়া করায় সুবর্ণা মা তাকে বকাঝকা করেন এবং একটি থাপ্পড় দেন। এতে মায়ের ওপর অভিমান করে সুবর্ণা গলায় ফাঁস দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, সুবর্ণা জামালপুর সদর জেলার ছয়নতিয়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে ছাতা মসজিদ গলি এলাকায় নয়া মিয়ার বাড়িতে স্বামী আব্দুল মান্নানের সঙ্গে থাকতেন।

আল-আমিন/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article