চামড়া, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতার বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্যের সমাহার নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবিতে) শুরু হয়েছে চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৪-এর দশম আসর।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আইসিসিবিতে তিনদিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব।
প্রদর্শনীটির দশম আসরে ২০টি দেশের প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা ও ভ্রমণসামগ্রী খাতের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং অনুসন্ধানের সবচেয়ে পছন্দসই প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।
শাহ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে দেশের রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে। চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও খাত সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি পণ্যের এই প্রদর্শনী রপ্তানি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাত বেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে এই খাতের উৎপাদনকারীরা গুণগত মান, দক্ষতা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় রেখে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সমাধান চান। এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তারা সারাবছর লেদারটেক বাংলাদেশ প্রদর্শনীর জন্য অপেক্ষায় থাকেন, যেন এই প্রদর্শনীতে এসে দেখে-বুঝে তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও উপকরণ সংগ্রহ করতে পারেন।
নতুন অর্ডার আসতে থাকায় সাম্প্রতিক প্রান্তিকগুলোয় এ খাতের রপ্তানি আয় বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে করোনা মহামারীর ধাক্কায় ধুঁকতে থাকা চামড়া শিল্পের জন্য শুভ লক্ষণ। কোনো কোনো দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চললেও বাংলাদেশে বর্তমানে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশ ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের তুলনামূলক সাশ্রয়ী শ্রমের মজুরির কারণে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ যুক্ত জুতা আরও সাশ্রয়ী করে তোলা সম্ভব হয়েছে।
এলডব্লিউজি সার্টিফিকেশনের পর চামড়া খাত বাজার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি বাড়ার প্রত্যাশায় রয়েছে উৎপাদনকারীরা।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্যের একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই খাতের উৎপাদনে সাময়িক মন্দা দেখা দিলেও বর্তমানে পুনরায় সারা বিশ্বে রপ্তানি শুরু হয়েছে।
এসআরএস/এমকেআর/জেআইএম