আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশে নতুন চক্রান্ত চলছে। রাজনীতিতে নানান খেলা চলছে। অনেকে আওয়ামী অপশক্তির সঙ্গে রং-রস আর আপসের কথা বলছেন। অথচ এখনো শহীদের মায়েদের চোখের পানি শুকায়নি, রক্ত শুকায়নি। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাসঘাতকতার ধ্বনিও শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা অডিটেরিয়ামে জেলা রুকন সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
চক্রান্ত রুখে দিতে দেশপ্রেমিক জনগণ, সেনাবাহিনী এবং ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ গঠনে, নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমান সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ফুলকোর্ট আদালত বসিয়ে, আনসারকাণ্ড ঘটিয়ে, সাম্প্রদায়িক হানাহানির অপচেষ্টা করে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে ফ্যাসিবাদীরা।’
শেখ হাসিনার কড়া সমালোচনা করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘তিনি বাইরে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। নানান অডিও-ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। কখনো বলা যাচ্ছে, যেকোনো সময় দেশে ঢুকে পড়বেন। আবার কখনো বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সারতে হবে।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এমন হত্যা, নারকীয় তাণ্ডব চালানো নিষ্ঠুর, বর্বর, খুনি শাসককে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় বসতে দিবে না। তাদের রাজনীতি আর নির্বাচনে আসার নৈতিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ শুধু ফ্যাসিস্টই নয়, স্যাডিস্ট (এমন ব্যক্তি যিনি অন্যদের কষ্ট দেখে উপভোগ করেন)। হাসিনা যে অপরাধ করেছেন তা শুধু ফ্যাসিস্ট বলে কভার করা যায় না। তিনি স্যাডিস্টও। কারণ মানুষের দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, খুন, গুম দেখে ইনজয় করেছেন। সব খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাই ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম স্যাডিস্ট।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন, অঞ্চল টিম সদস্য মনোয়ার হোসেন, ড. আলমগীর বিশ্বাস ও মেহেরপুর জেলা আমির তাজ উদ্দিন খান।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
হুসাইন মালিক/এসআর/এএসএম