যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দাবি জানিয়ে এবার পালিত হতে যাচ্ছে ‘যাত্রী অধিকার দিবস’। দেশে সপ্তমবারের মতো শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবসটি পালন করা হবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।
যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়ক দুর্ঘটনা এবং গণপরিবহনে অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের প্রতীকী দিবস হিসেবে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
এবার দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ দেশের যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, তারা শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় আলোচনা সভা ও মানববন্ধন হবে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশে পরিবহন খাতে অনিয়ম বন্ধের মধ্য দিয়ে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সামনে আনতে প্রতীকী দিবস হিসেবে ২০১৮ থেকে দেশে যাত্রী অধিকার দিবস পালন শুরু হয়। পরের বছর যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে ১৩ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া-নৈরাজ্য চরমভাবে বেড়েছে। মানুষের যাতায়াতের নিরাপত্তা কমেছে। পথে পথে ছিনতাই, ডাকাতি, দুর্ঘটনাসহ নানা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা কিছুতেই থামছে না। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা খাতে সংস্কারের মধ্য দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন গঠন করলেও হাজারো মানুষের প্রাণহানি ও ভোগান্তি লাঘবে সড়ক পরিবহন খাতে কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। এসব প্রেক্ষাপটে এবারের যাত্রী অধিকার দিবস অনেক বেশি তাৎপর্য বহন করে।
এমএমএ/একিউএফ/এএসএম