আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক কোনো দল নিষিদ্ধের কোনো বিধান থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদকে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাব আছে (রাজনৈতিক দলের সাজার সুপারিশ করতে) আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘“আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪”-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন তারা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসার্নড অথরিটির (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’
‘কনসার্নড অথরিটি’ হিসেবে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করতে পারে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে এসব বিষয় খসড়ায় বলা নেই।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘কিন্তু আজ আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম ডিসেন্ট ওয়েতে, ফেয়ার ওয়েতে বিচারটা করতে চাই। এই জন্য এই প্রভিশনটা বাতিল করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয় বা দাবি ওঠে, তাহলে আমাদের অন্যান্য আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে, সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে। ১৯৭৯ পলিটিক্যাল পার্টিজ অ্যাক্টে সেই সুযোগ রয়েছে।’