‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’ ১৭ বছরেও চালু হয়নি স্যালাইন কারখানা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেরিয়ে গেছে ১৭ বছর। তবে আজও চালু হয়নি ঝিনাইদহের খাবার স্যালাইন তৈরির কারখানাটি। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে স্যালাইন তৈরির সরঞ্জাম। ফলে জেলার হাসপাতালগুলোতে খাবার স্যালাইনের চাহিদা মেটানো হচ্ছে যশোর ও বগুড়া থেকে আনা স্যালাইন দিয়ে। এতে বেড়েছে আমদানি খরচ। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি আমলে নির্মাণ হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘদিনেও কারখানাটি চালু হয়নি। যে কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ শহরের মদনমোহন পাড়ায় পুরাতন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় স্যালাইন কারখানাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য মসিউর রহমান। ২০০৮ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্যালাইন কারখানাটির ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। ‌‘বিএনপির আমলের’ প্রচারণা চালিয়ে কারখানাটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এভাবে কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। বর্তমানে কারখানার অত্যাধুনিক মেশিন পলিথিনে মুড়িয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা আছে। ভবনের কক্ষগুলো ধুলাবালি

‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’ ১৭ বছরেও চালু হয়নি স্যালাইন কারখানা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেরিয়ে গেছে ১৭ বছর। তবে আজও চালু হয়নি ঝিনাইদহের খাবার স্যালাইন তৈরির কারখানাটি। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে স্যালাইন তৈরির সরঞ্জাম। ফলে জেলার হাসপাতালগুলোতে খাবার স্যালাইনের চাহিদা মেটানো হচ্ছে যশোর ও বগুড়া থেকে আনা স্যালাইন দিয়ে। এতে বেড়েছে আমদানি খরচ।

অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি আমলে নির্মাণ হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘদিনেও কারখানাটি চালু হয়নি। যে কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ শহরের মদনমোহন পাড়ায় পুরাতন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় স্যালাইন কারখানাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য মসিউর রহমান। ২০০৮ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্যালাইন কারখানাটির ভাগ্যে নেমে আসে অন্ধকার। ‌‘বিএনপির আমলের’ প্রচারণা চালিয়ে কারখানাটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এভাবে কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। বর্তমানে কারখানার অত্যাধুনিক মেশিন পলিথিনে মুড়িয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা আছে। ভবনের কক্ষগুলো ধুলাবালিতে একাকার। মেঝেতে জমেছে ময়লার স্তূপ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্যালাইন কারখানার আধুনিক ভবনটির বেশিরভাগ কক্ষই তালাবদ্ধ। দোতলা ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষে বর্তমানে ইপিআই সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস ইপিআই সেন্টার পরিচালনা করছে। এ ছাড়া বাকি কক্ষগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। দ্বিতীয় তলার মেঝেতে জমেছে ময়লার স্তূপ। দেওয়ালে দেওয়ালে মাকড়সার জাল। ভবনের মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় বুনো গাছ-গাছালির আবাস।

ঝিনাইদহের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্যালাইন কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কারখানাটি চালুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিএনপির প্রয়াত সংসদ সদস্য মসিউর রহমান কারখানাটি ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কারখানাটি চালু হলে জেলাবাসী উপকৃত হতো।’

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতিমাসে গড়ে ২০ হাজার পিস খাবার স্যালাইনের চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে যশোর ও বগুড়া থেকে স্যালাইন কিনে আনা হয়। এতে প্রতিমাসেই পরিবহন খরচ বাবদ মোটা টাকা খরচ হচ্ছে। কারখানাটি চালু হলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে সরবরাহ করা যেতো বলে দাবি সচেতন মহলের।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, স্যালাইন কারখানাটির ভৌত অবকাঠামো থাকলেও আমাদের কাছে কারখানা বিষয়ক কোনো নথিপত্র নেই। কাগজপত্র থাকলে সেটা নিয়ে কাজ করতে পারতাম।

কারখানাটি চালুর ব্যাপারে সিভিল সার্জন অফিস থেকে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।

এম শাহজাহান/এসআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow