রাজশাহীতে ট্রাফিক-বাজার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

4 weeks ago 8

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় সবধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে সরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

তারা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পুলিশ এবং প্রশাসন দায়িত্বে ফিরে এসেছে। তাই সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এ পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

তাদের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হলো- রাজশাহী মহানগর ও জেলায় সবধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যাবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে পুলিশকে সর্বাত্মক সহায়তা করা যেতে পারে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীতে কেন্দ্র ঘোষিত সমন্বয়ক পরিষদ ছাড়া কোনো ধরনের সমন্বয়ক নেই। রাবি পরিষদসহ ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে যে-কোনো ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন, সুবিধা প্রদান কিংবা ক্ষমতা চর্চার সবধরনের সুযোগ প্রতিহত করার আহবান জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আন্দোলনের বাইরে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের অন্যান্য কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে।

এ সময় রাবি সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, আজকে আমাদের এ কর্মসূচি করার কারণ হলো সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে সুবিধা নিতে না পারে। আমরা জানতে পেরেছি সমন্বয়ক পরিচয়ে একটা অসাধু চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেছে। এমনকি তারা এ পরিচয়ে অনেক টাকা চাঁদা তুলেছে। কিন্তু আমরা মোটা দাগে জানিয়ে দিতে চাই এরকম কোনো উদ্যোগ সমন্বয়ক পরিষদ থেকে নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি প্রয়োজন না থাকার পরও সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গায় অনেকে দাঁড়িয়ে থাকেন। এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে আপনারা সরে যাবেন।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এএসএম

Read Entire Article