রাজারহাটের চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রস্তুতি

3 months ago 41

আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম রাজারহাটের ব্যবসায়ীরা।

কোরবানির পশুর চামড়া ঘিরে রাজারহাটে এবার জমজমাট বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন তারা।

গতবারের তুলনায় এবার চামড়ার দর বর্গফুটে ১০ টাকা বৃদ্ধি করায় এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে বলেও আশা ব্যবসায়ীদের। তবে প্রচণ্ড গরম, লবণের মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিকের লাগামছাড়া মজুরির কারণে খানিকটা সংশয়ও রয়েছে।

রাজারহাট মোকামে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন শতাধিক আড়ত রয়েছে। শনি ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। এখানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ছাড়াও ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর এবং ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচাকেনা করেন।

রাজারহাটের চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রস্তুতি

গেলো শনিবার এই হাটে গরুর চামড়া মানভেদে পাঁচশো থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়ার দর ছিল ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

আড়তদার হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, ঈদপরবর্তী দুই-তিন হাটে এখানে লক্ষাধিক চামড়া বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

শনিবার রাজারহাটে দেখা গেছে, বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের দিন থেকেই চামড়া আসতে শুরু করবে। তবে মঙ্গলবারে হাট সেভাবে জমে না। শনিবার পুরোপুরি জমবে হাট।

বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, সরকার গতবছরের চেয়ে ১০ টাকা দাম বাড়িয়ে গরুর চামড়া ৫৫-৬০ টাকা বর্গফুট নির্ধারণ করেছে। সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া বেচাকেনা হবে। এক্ষেত্রে একেকটি গরুর চামড়া ৭শ থেকে ১৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে বলে আমরা আশা করছি।

সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকরা যেন চামড়া ক্রয় করেন, তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। তবে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা না বুঝেই চড়া দামে চামড়া কিনে এনে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

রাজারহাটের চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রস্তুতি

রাজারহাট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোমিনুল মজিদ পলাশ বলেন, এবছর অত্যধিক গরমে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশু জবাইয়ের ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ না দিলে নষ্ট হয়ে যাবে। লবণের দামও চড়া। ৭০ কেজি বস্তার ৮শ টাকার লবণ এখন ১২শ’ টাকা। এবছর শ্রমিকের সংকট অনেক বেশি। আড়াই হাজার তিন হাজার টাকার কমে শ্রমিক মিলছে না।

এদিকে, চামড়া পাচাররোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, চামড়া পাচাররোধে সবসময়ই নজরদারি থাকে। এ সময় বিশেষ তৎপরতা থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, চামড়াবোঝাই কোনো গাড়িকে শহর বা ঢাকা অভিমুখী ছাড়া সীমান্ত এলাকার পথে যেতে দেওয়া হবে না। সীমান্তবর্তী প্রত্যেক মেইন রোড ও ফিডার রোডে চেকপোস্ট থাকবে। এর বাইরে বিশেষ শাখাও কাজ করবে।

এইচআরএম/এসএনআর/এমএস

Read Entire Article