রাতের আঁধারে উপড়ে ফেলা হলো ৩ হাজার চা গাছ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে একটি চা বাগানের প্রায় তিন হাজার চা গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী মোছা. আছমা আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খয়েরবাগান সংলগ্ন চরতিস্তা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিস্তা পাড়া এলাকার মোছা. আছমা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার মো. ফরিদুল ইসলাম ও মো. ইউসুফ আলী গংদের প্রায় ১ একর ১৭ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদুল ইসলাম ও ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে ১৫–২০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আছমা আক্তারের ভোগদখলীয় প্রায় ৫০ শতক জমিতে প্রবেশ করে পরিকল্পিতভাবে প্রায় তিন হাজার ফলনশীল চায়ের গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে। এ সময় ভুক্তভোগী ও তার স্বামী বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকার

রাতের আঁধারে উপড়ে ফেলা হলো ৩ হাজার চা গাছ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে একটি চা বাগানের প্রায় তিন হাজার চা গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী মোছা. আছমা আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খয়েরবাগান সংলগ্ন চরতিস্তা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিস্তা পাড়া এলাকার মোছা. আছমা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার মো. ফরিদুল ইসলাম ও মো. ইউসুফ আলী গংদের প্রায় ১ একর ১৭ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদুল ইসলাম ও ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে ১৫–২০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আছমা আক্তারের ভোগদখলীয় প্রায় ৫০ শতক জমিতে প্রবেশ করে পরিকল্পিতভাবে প্রায় তিন হাজার ফলনশীল চায়ের গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে। এ সময় ভুক্তভোগী ও তার স্বামী বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভুক্তভোগী আছমা আক্তার বলেন, এই জমিটি আমরা ক্রয় সূত্রে প্রায় ২০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। ২০১৮ সালে তেঁতুলিয়া থেকে চায়ের চারা এনে দুই বিঘা জমিতে বাগান করি। একজন নারী হয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে এই বাগান গড়ে তুলেছি। এই বাগান থেকেই আমার সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চলত। কিন্তু ইউসুফ ও ফরিদুলসহ ১৫/২০ জন লোক এসে সব চা গাছ উপড়ে দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্র চা বাগান মালিক সমিতির আহ্বায়ক আবুল বাশার বসুনিয়া বলেন, মোশাররফ হোসেন ও আছমা দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে তিলে তিলে এ চা বাগানটি গড়ে তুলেছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে সব চা গাছ উপড়ে দিয়ে পরিবারটিকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। দেবীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। মামলার দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow