রাতের আঁধারে হোটেলের বর্জ্য যাচ্ছে সমুদ্রে

5 hours ago 6

পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় প্রতিদিন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক সমুদ্র ও প্রকৃতির টানে ভিড় জমান। জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন হোটেল সি-ভিউয়ের কারণে এখন অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, হোটেলটি গভীর রাতে টয়লেটের বর্জ্য ও ময়লা পানি পাইপের মাধ্যমে সরাসরি সমুদ্রে ফেলছে। এতে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা ও সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকরা। 

সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, প্রতিদিন রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হোটেলের পেছন দিক দিয়ে এসব বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা হয়। সকালে সৈকতে বাজে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

হোটেলের সাবেক এক কর্মচারী জানান, প্রতিনিয়ত এভাবেই বর্জ্য ফেলা হয় এবং এজন্য স্থানীয়দের সঙ্গে তাকে বহুবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন গভীর রাতে সমুদ্রে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ভোরে সৈকতে গেলে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আমাদেরও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

একই অভিযোগ করেছেন পর্যটক রুমা আক্তার। তিনি বলেন, এত দূর থেকে কুয়াকাটা এসেছি; কিন্তু সৈকতে গিয়ে দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। এভাবে ময়লা ফেলা হলে পর্যটকদের আসার আগ্রহ কমে যাবে।

কুয়াকাটা উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মিরাজ বলেন, এটি পরিবেশ আইনবিরোধী কাজ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা না করলে সামুদ্রিক প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। অন্যদিকে পর্যটকদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য বলেন, আমরা চাই পর্যটন নগরের পরিবেশ রক্ষা হোক। এ ধরনের অনিয়ম পুরো কুয়াকাটার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে হোটেল ম্যানেজার মো. সোলায়মান বলেন, টয়লেটের বর্জ্য নয়, আমরা প্রতিদিন রাত আড়াইটার থেকে তিনটায় গোসলের পানি বিচের বালুতে ফেলি।

কলাপাড়ার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসিন সাদেক কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট হোটেলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article