কোথায় ঘুরলো জ্যামাইকা টেস্টের ভাগ্য? ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ১৫ বছর পর আবার টেস্ট জয়ের আসল নায়ক ও রূপকার কে বা কারা? তা নিয়ে বুধবার ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা জল্পনা-কল্পনা। আলোচনা-পর্যালোচনা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
কেউ বলছেন নাহিদ রানাই জ্যামাইকা টেস্ট জয়ের আসল রূপকার। আবার কারো মত জাকের আলী অনিকের দুঃসাহসী ব্যাটিংটাই দলকে জয়ের পথে পৌঁছে দিয়েছে। আবার অনেকের মত তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংটাই আসল। তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণির সামনেই শেষ ইনিংসে দাঁড়াতে পারেনি ব্র্যাথওয়েটের দল।
দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কোচ ও ক্রিকেটারদের অভিভাবকসম ব্যক্তিত্ব খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, আসলে টিম পারফরমেন্সের এক জ্বলন্ত নজির জ্যামাইকা টেস্ট। তার অনুভব, ‘কাউকে আর কোন বিভাগকেই এগিয়ে রাখা যাবে না। সুজন নাহিদ রানা, জাকের আলী অনিক আর তাইজুলকেই সমান কৃতিত্ব দিতে চান। তার মূল্যায়ন, প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানার অসামান্য বোলিং, তারপর জাকের আলী অনিকের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং এবং সব শেষে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণি- তিনজনের পারফরম্যান্সই টেস্ট জয়ের পিছনে প্রায় সমান ভূমিকা রেখেছে।’
তারপরও সুজনের দাবি, ‘ডেফিনেটলি বোলিং ইজ ভেরি ভাইটাল। নিজেরা ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়ে আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট ইনিংস ১৪৬ রানে গুঁড়িয়ে ১৮ রানে লিড নেই সেটাই আসলে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। বাট সেকেন্ড ইনিংসে আমদের ২৮৫ রানের লিড পাওয়াটাও খুব ইম্পর্টেন্ট। জাকের আলীর ইনিংসটা খুবই মূল্যবান। অনেক উপকারি।’
‘শুধু বোলারদের সাথে নিয়ে জাকের আলী যে ব্যাটিংটা করেছে। তার প্রশংসা যতই করা হোক, তা কম হবে। হি শোন হিজ ক্যারেক্টার। জেতার যে ইচ্ছে তার ব্যাটে ফুটে উঠেছে, সেটাই পুরো দলকে ইন্সপায়ার করেছে এবং আমার মনে হয় জাকের আলী অনিকের ওই অসামান্য ইনিংসটির ওপর ভর করেই আমাদের জয়ের সাহস ও ইচ্ছে জন্মেছে। এর বাইরে তাইজুল ওয়াজ এক্সিলেন্ট। তাইজুল এর বোলিংটা ছিল ম্যাচ উইনিং বোলিং।’
এআরবি/আইএইচএস