ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকার আরও কয়েকটি এলাকায় লড়াই চলছে বলে সেখানকার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
একদিন আগেই গাজা উপত্যকা এবং মিশর সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল। এরপরেই রাফায় হামলা চালানো হয়। গাজার পুরো স্থল সীমান্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজা ও মিশর সীমান্তে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ওই এলাকা ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র দাবি করেন, সেখানে তারা ২০টির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে। হামাস এগুলো অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো। তবে মিশরীয় টেলিভিশনে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।
- আরও পড়ুন:
- গাজা-মিশর সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল
- গাজায় যুদ্ধ আরও ৭ মাস চলতে পারে, তীব্র লড়াই রাফায়
- জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত
- গাজায় ৭ মাসের সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি নারী
গাজার বেশ কয়েকটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। রাফা শহরের মধ্যাঞ্চলে এক বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হন তারা।
গাজার পশ্চিমাঞ্চলীয় আল শাতি শরণার্থী শিবিরে অপর এক বিমান হামলায় আরও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর গাজায় সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। কিন্তু রাফায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। ওই শহরে কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
টিটিএন