রাবির স্থাপনায় মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিতে ভাঙচুর

3 hours ago 8

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিতে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪’ নামকরণ করেন তারা।

এদিকে, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, নির্মাধীণ শেখ হাসিনা হল, কামরুজ্জামান হল, শেখ রাসেল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে থাকা নাম ফলক ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে থাকা মুজিব পরিবারের নামে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে ফেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্রজনতা।

এ সময় শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ফাতিমা আল ফাহরিয়া ও কামরুজ্জামান হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আলি রায়হান হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানি, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কনিষ্ঠ শহীদ রিয়া গোপ নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা।

jagonews24

‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, খুনি হাসিনা মনে করেছে আমরা সব ভুলে গেছি। খুনি হাসিনার হাতে হাজারো ছাত্র সমাজের রক্তের দাগ লেগে আছে। খুনি হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অস্তিত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর থাকবে না। দ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে বলে সরকারের জোর দাবি জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, গতকাল শেখ হাসিনা লাইভে এসে ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে আমাদের এ কর্মসূচি। আমার ভাইদের রক্তের দাগ না শুকাতেই খুনি হাসিনার খুনি হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সাহস দেখায় কেমনে? আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া পদচিহ্ন ও রাবি থেকে তাদের শেকড় মুছে দিতে আমাদের আজকের এ আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বাইরে বসে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে দেশে এনে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ভাঙচুর ও বিক্ষোভে অংশ নেন।

মনির হোসেন মাহিন/এমআরএম

Read Entire Article