রামপুরা-বাড্ডার সুনসান রাস্তা আজ যানজটে স্থবির

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন যেন ভুতুড়ে ভাব বিরাজ করছিল রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা সড়কে। তবে টানা তিনদিনের সাধারণ ছুটির পর সব ধরনের অফিস-আদালত খোলায় এ সড়কের চিত্রও বদলে গেছে। বুধবার (২৪ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপুরা-বাড্ডা সড়কে তীব্র যানজট। সড়কে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলা মানুষের চাপ।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনে যানজট দেখা যায়। বিটিভির মূল ফটকের সামনে এখনো রয়েছে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাঁজোয়া যানসহ কয়েকটি গাড়িতে টহল দিচ্ছেন তারা।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ে। তবে এ সড়কে প্রচুর সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। মানুষের চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক। সড়কের দুপাশের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা হয়েছে।

• আরও পড়ুন
• স্বস্তি ফিরছে জনমনে
• সড়কে যানজট, গণপরিবহন সংকটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ
• দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ১৬৩০

গত কয়েকদিন যে সড়ক ছিল সুনসান সেই রামপুরা-বাড্ডা সড়কে আজ যানজটে স্থবিরতা নামতে দেখা যায়। গণপরিবহন না পাওয়া এবং যানজটের কারণে অফিস-কর্মস্থলগামী সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়। কারফিউ শিথিলের সময়ে আজ বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকছে। কিন্তু যানবাহন পেতে দেরি হওয়ায় এবং যানজটে পড়ে অনেকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। তাদের অনেকে উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করেন।

মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার এলাকায়ও ছিল যানজটের চিত্র। সেখানকার রাস্তায়ও সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে।

অনাবিল পরিবহন বাসের চালক বেলাল জাগো নিউজকে বলেন, মালিবাগ-আবুল হোটেল থেকে লিংক রোড এলাম প্রায় দেড় ঘণ্টায়। সবখানে যানজট।

এনএইচ/এমকেআর/জিকেএস