রামেকে চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তি চরমে
রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। সারা দেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ইন্টার্নদের এ কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রামেক হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করছেন রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টর ফোরামের সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মবিরতি চলমান রেখেছি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আমরা কেউ কাজে ফিরিনি। সেই সঙ্গে আমাদের প্রথম থেকে ৫ বর্ষের সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি।’
তিনি বলে, ‘আমরা বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে তাদের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ডাক্তার ছাড়া যাতে কেউ না ঢুকতে পারে সেই বিষয়ে কথা বলে এসেছি। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতিকে আমরা স্মারকলিপি দেব।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এ ছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন নাসির উদ্দিন বলেন, সকালে একবার শুধু ডাক্তারের দেখা পেয়েছি। কিন্তু সারাদিন গেল আর কারও দেখা পাইনি।
পুঠিয়া থেকে আসা শিরিন আখতার বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ড, কোথাও ডাক্তার নেই। সকাল থেকে রোগী নিয়ে বসে আছি। ডাক্তার এলে চিকিৎসা শুরু হবে।
তবে এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ জানান, হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাতই ঘটছে না। কারণ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকায় মিড লেভেলের চিকিৎসক ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।