রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে যে শর্ত দিলেন জেলেনস্কি

3 months ago 24

মস্কো যদি পুরো ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় কিয়েভ আগামীকালই রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি আরও বলেন, মূলত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ থামাবেন না।

তাই সামরিক হোক আর কূটনৈতিক উপায়ে হোক যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ থামাতে হবে।

আরও পড়ুন>

তিনি বলেন, যুদ্ধে জয়ী হতে পশ্চিমা সহায়তা যথেষ্ট নয়, কিন্তু সম্মেলন থেকে বোঝা গেছে ইউক্রেনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন দুর্বল হয়নি।

ইউক্রেনের ভূখণ্ডের অখণ্ডতার প্রতি একাত্মতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সম্মেলন। এতে যুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও ভোগান্তির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে একটি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।

যদিও ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সৌদি আরবসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশ এতে সই করেনি। ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে সম্ভাব্য কোনো প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক সমর্থন সৃষ্টিই ছিল এই সম্মেলনের লক্ষ্য। এতে ৯০ টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেয়।

রাশিয়াকে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া তার বড় সমর্থক চীনও উপস্থিত ছিল না। ফলে সম্মেলনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।

সুইস রিসোর্ট বুর্গেনস্টকে সমবেত হওয়া দেশগুলোর কোনো কোনোটির সঙ্গে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠতা নেই। যেমন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনকে সতর্ক করে বলেছেন দেশটিকে এমন কিছু আপস করতে হবে যা তাদের জন্য কঠিন হবে।

অন্যদিকে, কেনিয়া রাশিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেই কথা বলেছে।

জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণাপত্রে। কেন্দ্রটি বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এতে রাশিয়ার অভিযানকে ‘যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে, যা রাশিয়া সবসময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাছাড়া সব বন্দির বিনিময় ও অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া আহ্বানও জানানো হয়েছে ঘোষণাপত্রে।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

Read Entire Article