রাশিয়ার বিমান হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাশিয়ার সম্ভাব্য বিমান হামলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইউক্রেন। এটি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের এক সহস্রতম দিনে প্রথমবারের মতো ঘটল। তবে রাশিয়া পূর্বেই সতর্ক করেছিল, এমন হামলা হলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথে যেতে পারে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সংশোধিত পরমাণু নীতিমালায় স্বাক্ষর করেছেন। এই নীতি অনুযায়ী, কোনো পরমাণু শক্তিধর দেশের সমর্থনে রাশিয়ায় আক্রমণ হলে সেটি ‘সম্মিলিত হামলা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ রাখছে মস্কো।
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্ভাব্য বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর দূতাবাস দ্রুত বন্ধ করা হয়েছে। কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কিয়েভে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র ইউক্রেনের হামলার সক্ষমতা বাড়ালেও তা সংঘাতকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। পারমাণবিক হামলার হুমকি এবং পাল্টা পদক্ষেপের সম্ভাবনা এই যুদ্ধে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ যুদ্ধ পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং পারমাণবিক সংঘাতের সম্ভাবনা কতটা বাস্তব হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট করেছে। এখন বিশ্ববাসীর চোখ রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী কৌশলগত পদক্ষেপের দিকে।