‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

2 hours ago 5

ব্যানার ছেড়াকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপ উল্লেখ করে বিবৃতি দেওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ব্যানার ছেড়ায় শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে প্রশাসন। যা অপমানজনক। এ ঘটনায় অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক সব কার্যক্রম বর্জন থাকবে।

এর আগে ছাত্রদলের একটি ব্যানার ছেড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেক তদন্ত কমিটি করে শনিবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় সিকৃবি প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ব্যানার ছেড়াকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আতাউর রহমান সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি রাষ্ট্রবিরোধী, ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা অন্তর্বর্তী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা রোববার আন্দোলনে নামেন।

তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও একটি ছাত্র সংগঠনের ব্যানার ক্যাম্পাসে লাগানো হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যানার ছেড়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। ২৪ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এছাড়া প্রশাসন বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক ও রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, যা অপমানজনক। প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা সব একাডেমি কার্যক্রম বর্জন করেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুলতানা আহমেদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল ভাইস চ্যান্সেলর সঙ্গে কথা বলবে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে দেওয়া বিবৃতি ভুল করে দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

আহমেদ জামিল/জেডএইচ/জিকেএস

Read Entire Article