রাসুলের সিরাত অনুযায়ী দেশ পরিচালিত না হওয়া মুসলিম হিসেবে লজ্জার

2 hours ago 8

৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সিরাত অনুযায়ী দেশ পরিচালিত না হওয়া মুসলমান হিসেবে লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সিরাত কনফারেন্স ও সিরাত গবেষক সংবর্ধনা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মুফতি রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান থাকার পরও সর্বত্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মূল কারণ হলো সিরাতের বাস্তবায়ন না থাকা। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে সিরাতের শিক্ষার বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

তিনি বলেন, রাসুলের সিরাতের আদর্শেই সব সমস্যার সমাধান নিহিত। তাই ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে সিরাত বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ড. এসওয়াই ইউসুফ রমাদান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা মূলত সিরাতের শিক্ষার প্রতিফলন। সিরাত জানার কারণেই তারা নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, মানুষরূপী অমানুষদের মানুষ বানাতেই নবি করিম (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন। তাই শুধু জানলেই হবে না, সিরাত মানার চেষ্টাই পারে প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সিরাত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে কবি মুসা আল হাফিজ, ড. আবিদ হোসেন, ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, আবদুস সাত্তার আইনী ও আহমাদ রফিককে সিরাত গবেষক ও লেখক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া সিরাত কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজি ও মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী।

আরএএস/ইএ

Read Entire Article