মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ অনেক পরিবারের চলাচলের মাত্র একটি রাস্তা। যেটি ব্যবহার করে কৃষিকাজ করাসহ স্থানীয় বাজারে যেতে হয়। সন্তানরাও যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অথচ পারিবারিক বিরোধে কয়েকজন প্রতিবেশী চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ অন্তত পাঁচ পরিবারের লোকজন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ঘটনা এটি। এমন অমানবিক কাজ করায় স্থানীয় লোকজনও ক্ষুব্ধ। রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক বয়োবৃদ্ধ আব্দুল মান্নান চকদার নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল চকদার, আব্দুল জব্বার চকদার, সাইফুল চকদার, আব্দুল ছালাম চকদারসহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আব্দুল মান্নান চকদারের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এর জেরে প্রথমে রাস্তার ওপর ইটের স্তূপ তৈরি করা হয় এবং পরে সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ওই এলাকার বাসিন্দা ও শ্রীনগর দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চলাচলে বিপাকে পড়েন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, পারিবারিক বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করা ঠিক হয়নি। এতে ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় লোকজনও ক্ষুব্ধ হচ্ছে। কারণ, এই রাস্তাটি ব্যবহার করেই ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন হাটবাজারে যান। এছাড়া মাদরাসায় পড়ালেখা করতেও শিক্ষার্থীরা রাস্তাটি ব্যবহার করে। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা অত্যন্ত নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয়। দ্রুত প্রশাসনের মাধ্যমে রাস্তাটি উন্মুক্ত করা প্রয়োজন।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান চকদার বলেন, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা রীতিমতো অবরুদ্ধ। এদিক দিয়ে আসা-যাওয়া করা শিক্ষার্থীদেরও চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বুলবুল চকদার বলেন, আমি স্বীকার করছি, এটি চলাচলের রাস্তা। তবে আমার জায়গা আমি বন্ধ করেছি। এই মুহূর্তে রাস্তা উন্মুক্ত করা হবে না। কারণ, ঘর নির্মাণের জন্য ইট এনেছি। ঘরের কাজ শেষ হলে রাস্তা উন্মুক্ত করা হবে।
রাস্তা বন্ধের বিষয়টি জানেন না উল্লেখ করে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, রাস্তা বন্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাহউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পারিবারিক বিরোধে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পারিবারিক বা স্থানীয়দের মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমআরএম