নব্বইয়ের দশকের ছোটপর্দার এক উজ্জ্বল নাম সমু চৌধুরী। যিনি তার বলিষ্ঠ অভিনয় দিয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই পরিচিত মুখ আজ ভিন্ন এক খবরে শিরোনামে। একসময় মঞ্চ আর ক্যামেরার আলোয় যার দিন কাটত, হঠাৎ করেই তাকে দেখা গেল ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশে, রাস্তার ধারে একটি বটগাছের নিচে নিঃসঙ্গভাবে শুয়ে থাকতে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই অভিনেতার এমন করুণ দৃশ্য ধরা পড়ে এক পথচারীর মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিই মাধ্যমেই তাকে উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। নাটক থেকে বাস্তব জীবনে এসে এ যেন আরেক নাটক। তবে মঞ্চ নয়, এবার মঞ্চ জীবনই।
তার এই শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করে একজন লেখেন, ‘মনে হচ্ছে উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। উনার আত্মীয়-স্বজন বা কাছের প্রিয়জনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা চলচ্চিত্রের এই গুনি ব্যক্তিটিকে সাহায্য করতে চাইলে , সবাই শেয়ার করে দেবেন উনি যেন উনার প্রিয়জনদের কাছে সহি সালামতে পৌঁছাতে পারেন।
পরে মুহুর্তেই সমু চৌধুরীর এই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেছিলেন এটি শুটিংয়ের ছবি। কিন্তু তা নয়, আসলেই সমু চৌধুরী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মাজারের নিচে শুয়েছিলেন।
জানা যায়, তাকে সেখান থেকে নিকটস্থ পাগলা থানার মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অভিনয় শিল্পী সংঘ।
এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, ‘আমরা সমুদাকে নিকটস্থ পাগলা থানা প্রশাসনের মাধ্যমে মাজারের ওখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে এসেছি। ঢাকা থেকে আমাদের একটি দল যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব উনাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।
আরও জানা যায়, এর আগেও উনি এভাবে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এ বিষয়ে রাশেদ মামুন অপু আরও বলেন, ‘সমুদা মানসিক চাপে এমনটি করেছেন। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল।
১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘সমৃদ্ধ অসীম’। নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী।