রিজার্ভ আরও কিছুটা বাড়লো

3 months ago 8

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৭ মে) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার ৫৮০ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এসময়ে রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৬ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার বা ২৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।

এরও আগে গত ১৯ মে পর্যন্ত দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৫৪৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার বা ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফ নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৭ কোটি ডলারের কিছু বেশি বা ২০ দশমিক ২৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।

দেশের নিট (প্রকৃত রিজার্ভ) রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয় বিপিএম৬ মানদণ্ড অনুসারে। যেখানে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়।

গত সপ্তাহে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী মাসে (জুনে) এ রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে।

তিনি জানান, রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন। আর এজন্য এখন সবাইকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিতে হবে।

এদিকে চলতি মে মাসও নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। রেমিট্যান্স আসার আগের সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। চলমি মাস মে’র প্রথম ২৪ দিনেই ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রায় ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার কোটি ৪০১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে আসছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ১১৪২ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স এলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে, অর্থাৎ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় পেতে যাচ্ছে দেশ।

ইএআর/এমকেআর/এএসএম

Read Entire Article