দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. রাসেল মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. নোবেল মাহমুদ এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরদের কারণে এখনো বহু নিরপরাধ মানুষ কারাগারে বন্দি।
তিনি দাবি করেন, গত ২৮ মে মৌলভীবাজারের মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসান আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই হত্যার শিকার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে রেমিট্যান্স যোদ্ধা রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদ ও তার পরিবার কোনোভাবেই জড়িত নয়। পতিত আওয়ামী সরকারের জেলা নেতৃত্ব ও সংসদ সদস্যদের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। অপরাধ না করেও তারা অপরাধী হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন কাঠামোতে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে। তারা খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর সে কারণেই রাসেল ও নোবেলকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব বলেন, সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনুন। অন্যথায় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রাসেল মাহমুদ, নোবেল মাহমুদসহ সমগ্র পরিবার ও নাবালিকা সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংগঠক মনিরুজ্জামান মনি, জাতীয় জনতা ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন, কৃষক নেতা শফিকুল আলম শাহীন প্রমুখ।