রেল কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

4 hours ago 3

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমনের বিরুদ্ধে। মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় শারীরিকভাবে হয়রানিরও অভিযোগ করেন রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

এ ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমন নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক। 

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্থানীয় চাঁদাবাজ মাহমুদুল হাসান চৌধুরী (সুমন) ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছে। তারা স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসায় এবং স্টেশনে আগত যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে। 
সর্বশেষ, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী স্টেশনের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিল বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা বলেন, চাঁদাবাজ সুমন ও লোকজনের অত্যাচারে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তারা শুধু আমাদের নয়, যাত্রীদেরও হয়রানি করছে। সুমন আমাদের একজন সিনিয়র স্টাফকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যতটা লাঞ্চিত ও হয়রানি করেছে, আওয়ামী লীগের আমলেও আমরা ততটা বঞ্চনার শিকার হয়নি।

অভিযুক্ত নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমন বলেন, আমার রাজনৈতিক উত্থানে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্টেশন মাস্টার মুসা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মুসা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একজন সহযোগিতাকারী। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া আমি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকি। চাঁদাবাজি বা নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়। 

নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। যদি ঘটনা সত্য হয়ে থাকে, সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, মানুষের সঙ্গে অসৎ আচরণ করে অথবা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ 

এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Read Entire Article