রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রেলওয়ের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। গত কয়েক দিন ধরে উত্তর চট্টগ্রামের শেষ নাজিরহাট রেলস্টেশনের রেললাইন দখল করে সেমিপাকা দোকান নির্মাণ করছেন, ওই এলাকার মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)। দখলের সময় তার লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারা দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, নাজিরহাট ঘাট পুরাতন রেলস্টেশনের রেললাইনের গা ঘেঁষে ৮টি সেমিপাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২৩ প্রস্থ ১২ ফিট। আইনে রয়েছে, বাণিজ্যিক লিজ অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কৃষি লিজও বন্ধ রয়েছে। কৃষি লিজ নিয়ে শুধু কৃষি আবাদ করতে পারবেন। শ্রেণি পরিবর্তন করে কেউ রাস্তা, বিপণিবিতান, আধাপাকা কোনো স্থাপনা, মার্কেট নির্মাণ বা দেওয়াল দিয়ে দখলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এগুলো করে থাকলে সবই অবৈধ দখলদার হিসেবে গণ্য হবেন।
বর্তমানে নাজিরহাট ঘাট পুরাতন রেলস্টেশনের দুপাশে দখলদারই অবৈধ হিসেবে দখলে আছে। তবে কোনো শিল্প মালিক জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। নাজিরহাট ঘাট রেলস্টেশনের রেললাইন শ্রেণি পরিবর্তনের কোনো প্রকার অনুমতি নেননি। ফলে অবৈধ দখলদার হয়ে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। তাদের বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত মো. আনোয়ার হোসেন রেলওয়ের জমি দখলে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এটি তাদের পৈতৃক দখলদার বলে জানান তিনি।
নাজিরহাট রেলস্টেশন মাস্টার সালমান রনি বলেন, ঘাটের পুরাতন রেলস্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। অবৈধ দখলদারের বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। বর্তমানে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে দায়িত্ব আছি। নাজিরহাট রেলস্টেশনের ইনচার্জ আমার কাছে রয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখলের বিষয়ে আমরা অবগত নয়। যদি রেল কর্তৃপক্ষ চায় জায়গা উদ্ধারের জন্য তাহলে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক পাশে থাকবেন।