বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের (বিএসডিবি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, রাজশাহী অনাদিকাল থেকে রেশমের জন্য বিখ্যাত হলেও গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন কারণে এই খ্যাতি বিলুপ্তির পথে। তবে অংশীজনদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এই রেশম খাতকে ফের পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে রেশম বোর্ডের সভাকক্ষে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় মহাপরিচালক বলেন, রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় অধিকাংশ গ্রামবাসী নিয়মিত গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি রেশম পোকার চাষ করছেন। এর মাধ্যমে অনেক গ্রামীণ মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পথ পেয়েছে। প্রান্তিক ও ভূমিহীন মানুষরা বিশেষ করে নারীদের রেশম চাষে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকার অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেশম উৎপাদন বাড়ানোর চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে প্রধান ফসল হিসেবে তুঁত চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে রেশম চাষের নার্সারি আধুনিকায়নের পাশাপাশি ঈশ্বরদী, রংপুর, কুমিল্লা, কোনাবাড়ী ও বগুড়া নার্সারি কেন্দ্রে তুঁত গাছ ও কোকুন উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বর্তমানে বসতবাড়ি ও রাস্তার পাশের ফাঁকা জায়গায় তুঁত গাছের চাষ করা হচ্ছে। উচ্চ-ফলনশীল তুঁত বাগান স্থাপন এবং উন্নতমানের রেশম কোকুন উৎপাদনের জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সক্ষমতা বাড়াতে মডেল হিসেবে সম্ভাব্য এলাকায় প্রায় ২৩টি আদর্শ রেশম চাষের গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক এই অংশীজন সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রেশম বোর্ডের পরিচালক এমদাদুল বারী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রায়না আহমেদ, প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম। এসময় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিমা খাতুন।
এ ছাড়া সভায় শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বিএসডিবি কর্মকর্তা, রেশম চাষি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।