রোমাঞ্চ ছাপিয়ে ফাইনালে চিটাগং
চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার দুই বল পরেই আবারও মাঠে ফেরেন আলিস আল ইসলাম। ১ বলে তখন চিটাগং কিংসকে করতে হতো ৪ রান। নেমেই মুশফিক হাসানকে চার হাঁকিয়ে চিটাগংকে ফাইনালে তুললেন আলিস। পেন্ডুলামের মতো ঝুলতে থাকা ম্যাচের শেষ হাসিটা হাসল চিটাগং। খুলনা টাইগার্স শুধু তাকিয়ে দেখেই গেল। অথচ ম্যাচ জয়ের প্রায় ধারপ্রান্তেই ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজরা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ বলে জিতেছে চিটাগং। আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ১৬৩ রান তোলে খুলনা। জবাবে চিটাগং জেতে ২ উইকেট বাকি রেখেই। ২০১৩ সালের পর আবারও বিপিএলের ফাইনাল খেলবে চট্টগ্রামের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অল্প বাজেটের দল নিয়েও যে ফাইনালে খেলা যায়—তার উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবেন মোহাম্মদ মিঠুনরা।
আগে ব্যাটিং করা খুলনার ইনিংসে হোঁচট শুরুতেই। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ১৭ ওভারেও তাদের রান ছিল মাত্র ১১৫। শেষ তিন ওভারে রীতিমতো ঝড় তোলেন হেটমায়ার। বিনুরা ফার্নান্দো, শরিফুল ইসলামদের তুলোধুনো করে দলকে দেখান লড়াইয়ের পথ৷ রান তাড়া করা চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল দাপুটে। পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক ব্যর্থ হলেও খাজা নাফে ও হোসাইন তালাতে লড়াইয়ে ছিল তারা। মাঝে ৫ ওভারে ২৫ রানে পাঁচ ব্যাটারকে হারায় তারা। শেষ ৬ বলে ১৫ রানের সমীকরণ। প্রথম তিন বলে ৭ রান নিয়ে নেয় চিটাগং কিংস। আলিস চোট নিয়ে উঠে যান। শরীফুল চার হাঁকিয়ে পরের বলে ক্যাচ দিলে আবারও ফেরেন আলিস। এবার জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।