মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালে গণহত্যার পাশাপাশি ২০২৪ সালে চলমান সহিংসতার বিচারেরও দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সফররত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খানের সঙ্গে বৈঠককালে রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডাররা এ দাবি জানান।
উখিয়া কুতুপালং এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে তিনি কথা বলেন।
এর আগে সকালে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
শরণার্থী ত্রাণ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, আইসিসি প্রধান প্রসিকিউটর সোমবার কক্সবাজারে পৌঁছান। সকালে তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত এক ও চার নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে কথা বলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে আইসিসির তদন্তের বিষয়ে খোঁজ নিতে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে করিম খানের এটা তৃতীয় বাংলাদেশ সফর।
২০১৭ সালের আগস্টের পর রাখাইন থেকে মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না, সেটির তদন্ত করছে আইসিসি সেটার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে যুক্ত হয়েছে আইসিসি। তদন্তের কাজে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন আইসিসির এ প্রধান।
রোম সনদের অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে কাজ করার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই করেছে আন্তর্জাতিক এ আদালত। তবে রোম সনদে সই করেনি মিয়ানমার।
জাহাঙ্গীর আলম/আরএইচ/এএসএম