রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব; দেয়াল ভেঙে গৃহকর্তাকে অপহরণ

কক্সবাজারের টেকনাফে সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি দল স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে এই তাণ্ডব চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, রাতে হঠাৎ প্রায় ৩০ জনের একটি ভারি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দল নুরুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে তারা প্রথমে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে দরজা না পেয়ে হাতুড়ি ও হাম্বার দিয়ে দেয়ালে আঘাত করতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ ১৬ এপিবিএন-এর আওতাধীন লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাজু ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৬১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। নুরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন জানান, ‘গেল রাত ৯টার দিকে হঠাৎ একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে আধুনিক ভারি অস্ত্র ছিল। আব্বু নিরাপদ মনে করে একটি কক্ষে লুকিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীরা দরজা ভাঙতে না পেরে দেয়াল গুড়িয়ে তাকে ধরে নিয়

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব; দেয়াল ভেঙে গৃহকর্তাকে অপহরণ

কক্সবাজারের টেকনাফে সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি দল স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে এই তাণ্ডব চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, রাতে হঠাৎ প্রায় ৩০ জনের একটি ভারি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দল নুরুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে তারা প্রথমে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে দরজা না পেয়ে হাতুড়ি ও হাম্বার দিয়ে দেয়ালে আঘাত করতে থাকে।

ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ ১৬ এপিবিএন-এর আওতাধীন লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাজু ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৬১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন।

নুরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন জানান, ‘গেল রাত ৯টার দিকে হঠাৎ একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে আধুনিক ভারি অস্ত্র ছিল। আব্বু নিরাপদ মনে করে একটি কক্ষে লুকিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীরা দরজা ভাঙতে না পেরে দেয়াল গুড়িয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তাকে নির্মমভাবে মারধরও করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির অন্য সদস্যদের ওপরও হামলা হয়েছে। ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাইরে গুলির শব্দ আর তাদের অস্ত্র দেখে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস করেনি।’

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, তাণ্ডবের সময় ‘পুরো লেদা গ্রাম আতঙ্কে কাঁপছিল’। সন্ত্রাসীরা শুধু অপহরণ নয়, পরিবারের সবাইকে পিটিয়েছে। ঘরে যা মূল্যবান পেয়েছে সব নিয়ে গেছে।’

পরিদর্শক রাজু বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা, কাছের পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি সশস্ত্র ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তাদের কেউ নুরুল ইসলামকে অপহরণ করেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’

হামলার পর থেকে পুরো লেদা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রামের মানুষ বলছে- গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বেপরোয়া দাপটে সীমান্তাঞ্চল ক্রমেই অরক্ষিত হয়ে পড়ছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow