লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫

2 weeks ago 13

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এসময় দলীয় কার্যালয়, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা কমিটি।

ওই কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু, সদস্য শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সালেহ আহমেদসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের জেলা কমিটির একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট ও বাবুরহাটে ঘটনাটি ঘটে। এতে শফিক রাঢ়ী, তাহমিনা বেগম, সানু বেগম, গণি রাঢ়ি, মিজান খান, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদসহ ১৫ জন আহত হন।

জানা গেছে, খাসেরহাট বাজার ও আশপাশ এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন। যেকোনো মুহূর্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব জিএম শামিম বলেন, ‘ফারুক কবিরাজের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। তারা আমার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। আমার শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।’

উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ বলেন, ‘শামীমের নেতৃত্বে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজি চলছে। আমাকে ভালো জানা নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দিলে বিশৃঙ্খলা হয়। শামীমের লোকজন দফায় দফায় অস্ত্র নিয়ে বাজার প্রকাশ্যে মহড়া ও ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রতিবেদন জমা দেবেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে জানিয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

কাজল কায়েস/এসআর/এএসএম

Read Entire Article