লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় দলীয় কার্যালয়, বসতঘর ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টা থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট ও বাবুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শফিক রাঢ়ি, লিটন রাঢ়ি, তাহমিনা বেগম, সানু বেগম, গণি রাঢ়ি, মিজান খান, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদসহ ১৫ জন। এখনো দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ৫ আগস্টের পর মেঘনার চর, মাছঘাট, বাজার, কাঁচামালের আড়ত নিয়ে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে দুটি ধারা সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামিম গাজী ও অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ। এলাকায় দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মেঘনা পাড়ের চান্দারখাল এলাকায় উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিবের টেবিলের পাশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন খাসেরহাট এলাকার বিএনপির কর্মী ফারুক গাজী। এ নিয়ে শামিম গাজীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর ফারুক কবিরাজের নির্দেশে শামিম গাজীর অফিস ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার সকালে শামিমের শ্বশুর শফিক রাঢ়ির বাড়িতে হামলা হয়। ওই সময় তারা শফিক রাঢ়িকে মারধর করে বাড়িঘর ভাঙচুর, মিজানের বাড়ি ও দোকানে হামলা, দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামিম গাজী বলেন, ফারুকের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার মাছ লুট করেছে তারা।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ বলেন, শামিমের নেতৃত্বে এলাকায় চাঁদাবাজি ও লুটপাট করা হচ্ছে। এতে নেতাকর্মীরা বাধা দিলে শামিম তাদের ওপর হামলা চালায়। ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়েও ভাঙচুর করেছে তারা।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।