লক্ষ্মীপুর সদরের চরশাহী ইউনিয়নে সরকারি খালের ওপর টক্কাপুল স্লুইসগেট বন্ধ থাকায় বিকল হয়ে পড়েছে। এতে তীব্র স্রোত থাকলেও পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্রোতে ভেঙে গেছে খালপাড়ের আশপাশের চলাচলের রাস্তা। একটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে। বর্ষা এলে দুর্ভোগের শিকার হয় চার গ্রামের হাজারো পরিবার। ১৮ বছর ধরে এ সংকট চললেও নিরসনে এলজিইডি উদ্যোগ নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ২০০৬ সালে স্লুইসগেটটি নির্মাণের পর বোরো মৌসুমে পানি সংগ্রহের লক্ষ্যে পাঁচটির মধ্যে চারটি গেট বন্ধ রাখা হয়। পরের বছর গেটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি উঠে। এরপর থেকে ওই গেটগুলো আর খোলা হয়নি। সংস্কার করাও হয়নি। গেটগুলোর লক না খোলা বিকল হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সাতদিনের সময় নিলেও কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে একটি মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবের আমির নাজমুল ইসলাম শামীম, চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খসরুল আলম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু বকর সিদ্দিক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল আলম, স্থানীয় বাসিন্দা কাউছার হামিদ, মাহবুবুর রহমান ও কাজী রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
খসরুল আলম মাহমুদ বলেন, ‘কচুয়া প্রজেক্টে এলজিইডির মাধ্যমে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে স্লুইসগেটটি আর সংস্কার করা হয়নি। তবে কিছুদিন পূর্বে একটি প্রজেক্ট দিলেও কোনো কাজ করা হয়নি। সম্প্রতি নোয়াখালীর প্রশাসন আমাদের গ্রামের একটি রাস্তা কেটে দিয়েছে। যার কারণে আমাদের এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।’
নাজমুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘খালের ওপর অনেকগুলো ছোট কালভার্ট আছে। এতে পানিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সংকট নিরসনে প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।’
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, ‘ওই রেগুলেটরটি এলজিইডির। গেল বছর আমি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে রেগুলেটরি সংস্কার করে দিতে বলেছিলাম। কেন করা হয়নি, তা জানা নেই।’
কাজল কায়েস/আরএইচ/এএসএম