ফিলিস্তিন অ্যাকশনের সমর্থনে গত শনিবার অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ থেকে প্রায় ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সমর্থনে বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য সরকার জনগণের প্রতি আগে থেকেই আহ্বান জানিয়ে আসছে।
জুলাই মাসে কিছু সদস্য একটি রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে ঢুকে সামরিক বিমানের ক্ষতি করার পর ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী আইনের অধীনে ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ করে।
এরপর থেকে ফিলিস্তিন অ্যাকশনের শত শত সমর্থককে বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের অনেকের বয়স ৬০-এর উপরে।
লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার মধ্য লন্ডনে পার্লামেন্টের কাছে একটি বিক্ষোভ থেকে ৮৯০ জনকে আটক করা হয়েছে, যা এ ধরনের একক বিক্ষোভ থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ গ্রেফতারের ঘটনা।
গ্রেফতারদের মধ্যে ৮৫৭ জনকে একটি নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভটি সহিংস হয়ে উঠলে কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগে আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ক্লেয়ার স্মার্ট বলেন, আমরা অভিযানের সময় যে সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছি, তা ছিল একটি সমন্বিত ও পরিকল্পিত হামলা, যা সর্বোচ্চ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল।
বিক্ষোভের আয়োজক ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস নামে একটি গ্রুপ জানিয়েছে, গ্রেফতারদের মধ্যে পুরোহিত, যুদ্ধফেরত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেক বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিও ছিলেন।
গ্রুপটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হবে, ততদিন গণপ্রতিবাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সমপর্যায়ে রাখা হয়েছে। এই সংগঠনকে সমর্থন করা বা এর সদস্য হওয়া একটি অপরাধ, যার জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছে, এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম