লাল চুড়ি দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেফ এক্সিট দেওয়ার প্রতিবাদ ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ।
এদিন বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে হাইকোর্ট মাজার গেটে পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়। সেখানে তারা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারের রূপরেখা ঘোষণার আলটিমেটাম দেন। আধা ঘণ্টার মতো সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করেন। এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হল- জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পরিপূর্ণ রূপরেখা সরকারকে প্রকাশ করতে হবে। সব পাবলিক প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। চট্টগ্রামে যেসব কর্মকর্তা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে, অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদত দিচ্ছে, অবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা পোস্ট দিচ্ছেন, বিচার করতে হবে। আপনার কাছে প্রশ্ন, কারা বিচার করবে? যখন উপদেষ্টা ছিলেন না তখন বলতেন, এটা করব সেটা করব। গত ছয় মাসে কোন জিনিসটা করেছেন?’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী আছে, অতি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা দেখছি বিসিএস কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করছেন। আপনারা কী করেন?
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা আর কোনো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো না। এখন সময় সুশীল সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। চট্টগ্রামে নেভির দাওয়াতে কীভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত থাকে?