লালমনিরহাটে শীতের দাপট, গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে মানুষ

2 weeks ago 14

শীতের তীব্রতা বেড়ে লালমনিরহাটে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অনেক জায়গায় জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। গত তিনদিন পর সূর্যের দেখা মিললেও তাতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।

সবশেষ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এছাড়া হাট-বাজারে গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে।

তবে শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ। বেশি কষ্টে জেলার তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান চরের বাসিন্দারা।

লালমনিরহাটে শীতের দাপট, গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে মানুষ

এদিকে লালমনিরহাটের তুষভান্ডার রেলস্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত কারণে মারা গেছেন। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

তিস্তাচর এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কেথা কম্বল নাই। গরিব মানুষ, ঘুম থেকে উঠি আগুন পোয়া ছাড়া হামার কোনো উপায় নাই।’

ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনদিন ধরে কোনো যাত্রী পাই না। একদিকে এনজিওর কিস্তি আর একদিকে সংসারের খরচ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কষ্টে পড়েছি।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে।

রবিউল হাসান/জেডএইচ/এমএস

Read Entire Article