লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলেই শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে: লিপু
কী এমন হলো যে নির্বাচকরা হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে কথা না বলে, তার মতামত না নিয়েই শামীম পাটোয়ারীর মত টি-টোয়েন্টি পারফরমারকে বাদ দিয়ে দিলেন? এবং তাকে বলে দেয়া হলো, ‘যে দল সাজানো হয়েছে, সেই দল নিয়েই খেলতে হবে।’ শামীম পাটোয়ারীকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে আজ দুপুরেই চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তার মতামত না নিয়েই শামীম পাটোয়ারীকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি তিনি গুরুতর অভিযোগ তোলেন, নির্বাচকরা নাকি দল নির্বাচনে অধিনায়ক হিসেবে তার মতামতআর নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কেন এমনটা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর যার দেয়ার কথা, সেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে সেটাই দিয়েছেন। জানিয়েছেন আসল রহস্য। আরও পড়ুন: শামীম পাটোয়ারী কেন নেই, জানেন না লিটন শামীম পাটোয়ারী ইস্যুতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু নির্বাচকদের আলোকে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা বলেন, তার সারমর্ম হলো, তিনি আর অপর নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্ত ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিন অধিনায়ক লিটন দাস ও কোচ ফিল
কী এমন হলো যে নির্বাচকরা হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে কথা না বলে, তার মতামত না নিয়েই শামীম পাটোয়ারীর মত টি-টোয়েন্টি পারফরমারকে বাদ দিয়ে দিলেন? এবং তাকে বলে দেয়া হলো, ‘যে দল সাজানো হয়েছে, সেই দল নিয়েই খেলতে হবে।’
শামীম পাটোয়ারীকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে আজ দুপুরেই চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তার মতামত না নিয়েই শামীম পাটোয়ারীকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি তিনি গুরুতর অভিযোগ তোলেন, নির্বাচকরা নাকি দল নির্বাচনে অধিনায়ক হিসেবে তার মতামতআর নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
কেন এমনটা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর যার দেয়ার কথা, সেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে সেটাই দিয়েছেন। জানিয়েছেন আসল রহস্য।
আরও পড়ুন: শামীম পাটোয়ারী কেন নেই, জানেন না লিটন
শামীম পাটোয়ারী ইস্যুতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু নির্বাচকদের আলোকে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা বলেন, তার সারমর্ম হলো, তিনি আর অপর নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্ত ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিন অধিনায়ক লিটন দাস ও কোচ ফিল সিমন্সের সাথে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে কথা বলেছিলেন।
সেখানে অধিনায়ক লিটন দাস শামীম পাটোয়ারীকে দলে রাখার ব্যাপারে নিজের মত দিয়েছিলেন। মানে শামীমকে দলে রাখার পক্ষে ছিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন লিটন। পাশাপাশি হেড কোচ ফিল সিমন্সের সাথে কথা বলে তাদের (নির্বাচকদের) মনে হয়, তারা দুজনই শামীম পাটোয়ারীকে দলে চান।
কিন্তু নির্বাচকরা মনে করেন, শামীম পাটোয়ারীর সর্বশেষ সিরিজে যে ফর্ম তা দিয়ে তার এখন দলে থাকার মত অবস্থা নেই। তাই তারা শামীমকে ছাড়াই দল গঠন করেন।
‘তার সাথে কোনরকম কথা হয়নি নির্বাচকদের’- লিটন দাসের এমন দাবির ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অবশ্যই কথা হয়েছে। লিটন ও হেড কোচের কথা আমরা শুনেছি। কথা বলে আমাদের মনে হয়েছে কোচ ও ক্যাপ্টেন শামীম পাটোয়ারীকে দলে রাখার পক্ষে। মানে ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তনের বিপক্ষে।’
কিন্তু নির্বাচকরা মনে করেন শামীম পাটোয়ারীকে দলে রাখা যায় না। তাই লিটন দাস শামীমকে দলে রাখতে চাইলেও তার কথা না শুনে নির্বাচকরা নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে শামীমকে ছাড়াই দল সাজিয়েছেন। লিপুর দাবি, দল নির্বাচনে ভূমিকা, মতামত থাকলেও নির্বাচক, কোচ ও ক্যাপ্টেনের আলাদা সীমারেখা আছে। কে বা কারা ওই সীমারেখার কতদুর যাবেন, যেতে পারবেন এবং কার বা কাদের মতামত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে, স্টোও ঠিক করা আছে। সেখানে নির্বাচদের মতামতের সীমা রেখা সর্বোচ্চ। তিনি সে আলোকেই শামীমকে বাদ দিয়ে দল সাজিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে লিটন দাসের সংবাদ সম্মেলনে বলা মন্তব্যর প্রেক্ষিতে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর মতামত ও ব্যাখ্যা চাওয়া হলে জাতীয় দলের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক জাগো নিউজকে জানান, ‘আমরা দল গঠনের আগে ও ক্রিকেটার নির্বাচনের আগে সব সময় কোচ ও ক্যাপ্টেনের সাথে কথা বলি। আমি প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর এ ধারা অব্যাহত ছিল। আগের সব সিরিজ, সফরেই নিজেরা কথা বলে দল নির্বাচন করেছি। এবারও আয়ারল্যান্ডের সাথে ঢাকার মিরপুরে শেষ টেস্ট চলাকালীনও আমরা বসে কথা বলে দল চূড়ান্ত করেছি। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সিলেকশন কমিটির সাথে ক্যাপ্টেন লিটন দাসও ছিল। সেখানে টিম নিয়ে কথা হয়।’
‘এক পর্যায়ে ব্যাটিং ও পারফরমেন্সের ইস্যু ওঠে। আমি অধিনায়ক লিটন দাসকে শামীম পাটোয়ারীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। শামীমের সর্বশেষ পারফরমেন্স বিশ্লেষণ করে শেষ দিকে তার পরপর কয়েকটি ম্যাচের পারফরমেন্স ও আউট হওয়ার ধরনের আলোকে জানতে চাই । লিটন মতামত জানাতে গিয়ে আমাকে বলেছে যে, সে শামীমকে দলে চায়। শামীমের সাম্প্রতিক বাজে পারফরমেন্সের পরও তাকে দলে চায়। লিটন দাস আমাকে সে কথা বলছে।’
‘আমি বলছি সেতো দলে চান্স পাওয়ার মত অবস্থায় নেই। তারপরও লিটন বোঝানোর চেষ্টা করে সে শামীম পাটোয়ারীকে দলে রাখতে আগ্রহী। তখন আমি তাকে (লিটন দাসকে) বলি, ওকে আই গট ইওর ওপিনিয়ন।’
‘এরপর দিন মানে ঢাকা টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন কোচের সাথে কথা হয়েছে আমাদের। কথা-বার্তার এক পর্যায়ে ব্যাটিং নিয়ে কথা ওঠে। ব্যাটিংয়ের অবস্থা নিয়ে আমি কোচের মতামত জানতে চাই। কোচকে জিজ্ঞেস করলাম, টি-টোয়েন্টি দলের ব্যাটিং নিয়ে আপনার কি মত? কথা শুনে মনে হলো, হেড কোচের কোন অসন্তুষ্টি নেই ব্যাটিং নিয়ে। হি ইজ হ্যাপি। যেহেতু কোচ ব্যাটিং নিয়ে কোন অসন্তোষ প্রকাশ করেনি। তাই আমি আর শামীম পাটোয়ারীর কথা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করিনি।’
প্রধান নির্বাচকের শেষ কথা, আমরা যারা নির্বাচক আছি, আমাদের একটা সীমারেখা আছে। ক্যাপ্টেনের একটা বাউন্ডারি আছে। কোচেরও একটা সীমারেখা আছে। আই থিংক উই আর দ্য সুপ্রিম অথোরিটি দল সিলেকশনের ব্যাপারে। আমরা যেটা ভালো মনে করি, তাই করেছি। আমি টিম ডিক্লেয়ারের পর শামীম পাটোয়ারীকে কল দিয়ে জানাই যে, তোমার ক্যাপ্টেন তোমাকে চেয়েছিল। কিন্তু তুমি আমাদের সিলেকশনে নেই এবার।’
এআরবি/আইএইচএস/
What's Your Reaction?