মানুষ কখনো কখনো এমন কিছু পেয়ে যায়, যেটা তার যোগ্য ছিল না। লিটন দাসের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে, লিটন কি সত্যিই টাইগার ক্রিকেটের যোগ্য ওপেনার? ওপেনিং থেকে ওয়ানডাউন, কোনো পজিশনেই লিটন নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। প্রশ্ন আরও আসে, মেলে ধরতে পারছেন না নাকি চেষ্টাটাই করেন না? চেস্টা করবেনই বা কি করে, কেবল স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানের তকমা থাকায় দল থেকে বাদ পড়ে কোনো পারফর্ম্যান্স ছাড়াই যদি আবারো দলে ডাক পান তবে কি করে থাকবে ভালো খেলার তাড়না?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ডাক মারার পর তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়েন লিটন দাস। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান সিরিজেও জায়গা হয়নি এই ওপেনারের। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও লিটনের পারফর্ম্যান্স বেশ মলিন। ওয়ানডে দলে ফেরানোর মতো কোনো পারফর্ম্যান্স না করেও কেবল বাকিদের ইনজুরিতে দলে ফিরলেন লিটন। দলে খেলানোর জন্য ওপেনার লিটনকে খেলানো হলো তিনে, ফলাফল টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে; ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেও টানা দুই ব্যর্থতা...
১০ বছর ধরে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারেনি টাইগাররা। এমনকি প্রথম ওয়ানডের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টানা ১১টি ওয়ানডে জয়ের সুখস্মৃতি ছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। সেখান থেকে প্রথম ওয়ানডে হারের পর দ্বিতীয় ওয়ানডে ছিল সিরিজ বাচানোর। ১০ বছরের রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখার। এমন ম্যাচে তানজিম সাকিবের মতো টেলেন্ডাররা দায়িত্ব নিতে পারলেও, দেশের সবচেয়ে স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা পাওয়া লিটনের ব্যর্থতা, তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে।
সিরিজ বাচানোর ম্যাচে চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন লিটন কুমার দাস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের বিপদে হাল ধরার পরিবর্তে খেলেছেন একের পর এক ডট বল। ১৯ বল খেলে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
লিটন দাসের ব্যর্থতার মাঝেই তাকেই দেয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব। সাধারণত ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব দেয়া বিসিবি এবারই প্রথম অফফর্মে থাকা কোনো ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করেছে। দেখার বিষয়, ক্যাপ্টেন লিটন দলকে দিতে পারেন কতটা?