পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সম্মেলন ওয়েব সামিট। রাজধানীর অ্যালটিস অ্যারেনায় ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের আয়োজনটি লিসবনে ওয়েব সামিটের দশম আসর।
২০০৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রযুক্তি দুনিয়াকে এক ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যেই প্রতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে ওয়েব সামিট। ইন্টারনেট প্রযুক্তিনির্ভর এই সম্মেলন এখন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ১৬০টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও তাদের উদ্ভাবকরা। স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী, কর্পোরেট লিডার, নীতিনির্ধারক ও সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ফিনটেক, স্থায়িত্ব, সাইবার নিরাপত্তা, ক্লাইমেট টেকসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন।

সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ স্টার্ট-আপ প্রতিযোগিতা, যেখানে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রকল্প উপস্থাপন করছে বিনিয়োগ অর্জনের লক্ষ্যে। অংশগ্রহণকারীরা পিচিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের উদ্ভাবন তুলে ধরছেন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে। এবারের আয়োজনের ২৪টি ভিন্ন স্টেজে ১ হাজার ২০০-এরও বেশি বক্তা বক্তব্য রাখছেন।
ওয়েব সামিট প্রথম অনুষ্ঠিত হয় আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে, টানা পাঁচ বছর সেখানে আয়োজনের পর ১০১৬ সাল থেকে লিসবনে স্থানান্তরিত হয় এই ইভেন্ট। ওয়েব সামিটের সিইও প্যাডি কসগ্রেভ ঘোষণা জানান, পর্তুগিজ সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী লিসবনে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে লিসবনের পাশাপাশি ব্রাজিলের রিও, কানাডার ভ্যাঙ্কুভার ও কাতারের দোহাতেও আয়োজিত হচ্ছে ওয়েব সামিটের আঞ্চলিক সংস্করণ।
গেলো দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও লিসবনে প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের এই মহামিলনমেলা বসেছে। উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য রাখেন লিসবন সিটির মেয়র কার্লোস ময়েদা, বিশ্বখ্যাত কনটেন্ট ক্রিয়েটর খাবি লেইম এবং সাবেক টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা।

এবারের ওয়েব সামিটে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের প্রায় ১,০০০টি গণমাধ্যম এবং ২,৫০০’র বেশি সাংবাদিক। বাংলাদেশ থেকেও অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিনিধি।
এদিকে, ওয়েব সামিটে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানি মালিক ও ধনী উদ্যোক্তারা ব্যক্তিগত জেটে করে লিসবনে আসছেন। তবে রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় অনেক প্রাইভেট জেটকে বাধ্য হয়ে আশপাশের এলাকা, এমনকি স্পেনেও অবতরণ করতে হচ্ছে। পর্তুগালের প্রধান বিমানবন্দর ব্যক্তিগত বিমানের যাত্রীদের স্থান দিতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এমআরএম/এএসএম

4 hours ago
5








English (US) ·