দক্ষিণ লেবাননে দ্বিতীয় ধাপের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসেবে দেশটির আরও অভ্যন্তরে ঢোকার চেষ্টা করে সেনারা। এ সময় হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় তাদের। ভয়ংকর সম্মুখযুদ্ধে নিহত হয় ছয় দখলদার সেনা।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, হিজবুল্লাহর সাথে সংঘর্ষে ছয় ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সীমান্তঘেঁষা এলাকায় তীব্র সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননের আরও অভ্যন্তরের গ্রামগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধে এমন প্রতিরোধের মুখে তাদের কমই পড়তে হয়েছে। তবে এতে তারা থামবেন না। সীমান্তের ওপারের গ্রামগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের অভিযান চলছে। তারা দক্ষিণ লেবাননে তাদের স্থল অভিযান আরও সম্প্রসারিত করেছে।
নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ইতাই মার্কোভিচ (২২), স্টাফ সার্জেন্ট শ্রেয়া এলবোইম (২১), স্টাফ সার্জেন্ট ডর হেন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট নির গোফার (২০), সার্জেন্ট শালেভ ইতজাক সাগরন (২১) ও সার্জেন্ট ইয়াভ ড্যানিয়েল (১৯)। তারা সবাই গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। গোষ্ঠীটির নতুন আস্তানার দিকে অগ্রসর হচ্ছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এর অর্থ হচ্ছে, দক্ষিণ লেবাননের নতুন এলাকা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কবলে পড়তে যাচ্ছে।
তথ্য মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে স্থল যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের যে সূচনা করেছে তাতে যোগ দিয়েছে ৩৬ তম ডিভিশন। হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা লাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে তারা। ৩৬ তম ডিভিশন একটি সাঁজোয়া ডিভিশন এবং এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৃহত্তম।
ডিভিশনের সংযুক্ত আছে গোলানি ব্রিগেড, প্যারাট্রুপারস ব্রিগেড এবং ১৮৮ তম সাঁজোয়া ব্রিগেডসহ যুদ্ধ প্রকৌশলীরা। তারা ইতোমধ্যে দক্ষিণ লেবাননে নতুন অপারেশনে জড়িত।