লোকবল সংকটে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

4 hours ago 6

প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পরও পূর্ণতা পায়নি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নেই প্রয়োজনীয় লোকবল। গুরুতর কোনো রোগী এখানে এলেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় বরিশাল বা ঢাকায়। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

জানা গেছে, ১৯৭৬ সালে কালকিনির ঝাউতলা ও পাঙ্গাশিয়া মৌজায় ৬ একর ৯৬ শতাংশ জমিতে গড়ে ওঠে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০১০ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। শয্যা বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। এখানে মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে ২৪টি। আছেন ১৩ মেডিকেল কর্মকর্তা। কনসালটেন্টের ১১ পদের মধ্যে সাতটি শূন্য। সব মিলিয়ে ৩৫ চিকিৎসক এখানে থাকার কথা। কিন্তু আছেন সাকুল্যে ১৭ জন। এই ১৭ চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজন আবার অন্যান্য কাজে যুক্ত। অতএব ১২ চিকিৎসকই ধরে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির হাল। 

এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বরিশাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হচ্ছে তাদের। এতে খরচ তো বাড়ছেই, ভোগান্তির মাত্রাও কম নয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এক্সরে, আল্ট্রাসনোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও বাইরে থেকেই রোগীদের এসব সেবা নিতে হয়। ২৪ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর স্থানে রয়েছে মাত্র ১০ জন। ফলে হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া রয়েছে নিম্নমানের খাবার সরবরাহসহ নানা অভিযোগ। খাবারের ঠিকাদার জানান, সব ধরনের খাবারের দাম বেড়েছে। তাই টেন্ডার অনুযায়ী মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করা কঠিন।  

সমস্যাগুলো এরই মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির এক্সরে টেকনিশিয়ান এসএম সোহেল রেজা ও প্যাথলজিস্ট কাওসার আলম। 

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিবলী রহমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের কথা স্বীকার করেছেন। কালবেলাকে তিনি জানান, ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যার করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল নেই। তাই সার্বিক সেবা নিয়ে অভিযোগ থাকবেই। এরপরও জনগণকে ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে সংকট কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। দ্রুত হাসপাতালের লোকবল সংকট সমাধান করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সেবার মান বাড়ানো হোক- এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

Read Entire Article