প্রকৃতিতে এখন রোদ-বৃষ্টির খেলা চলছে। আকাশি রঙের চকচকে আকাশ জুড়ে সাদা তুলার মতো মেঘ জানান দিচ্ছে শরতের আগমন। শরতের এই খেয়ালি আবহাওয়ায় তপ্ত দুপুরে হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টি পড়ে। প্রাকৃতিক এমন হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে আমাদের সাজ-পোশাকেও পরিবর্তন আনতে হয়। গরম ও বৃষ্টির কথা বিবেচনায় রেখে এমন পোশাক নির্বাচন করতে হয়, যা এনে দেয় স্বস্তি। সঙ্গে স্টাইলে রাখতে হয় নতুনত্ব।
পোশাক কেমন হবে
এই সময়ে ভারী কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে হালকা কাপড়ের পোশাক বেছে নিতে হবে। জর্জেট পরলে বেশি আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া লিনেন, ধুপিয়ান, মসলিন, তাঁতের কাপড় পরলে ভালো লাগবে। জয়সিল্ক, সিল্ক কাপড়ের লং কামিজ, গাউন ধাঁচের পোশাক এই সময়ের উৎসবের জন্য ফ্যাশনেবল। অফিস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে সুতির কামিজ, কুর্তি, স্কার্ট টপস, ফ্রক ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। আর শাড়ি পরতে চাইলে তসর, অ্যান্ডি, তাঁত কিংবা কটনের শাড়ি পরতে পারেন। কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন প্যান্ট অথবা পালাজ্জো। এখন ট্রেন্ডে রয়েছে কাফতান। কাফতান বেশ আরামদায়ক এবং স্টাইলিশও, যা যেকোনো কাপড়ের প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যায়। চাইলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অথবা পোশাকের বিপরীত রঙের স্কার্ফ বেছে নিতে পারেন।
পোশাকের ডিজাইন
এই সময়ে আকাশের উজ্জ্বলতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাদা, গোলাপি, নীল, আকাশি হালকা হলুদ রঙের পোশাক বেছে নিলে আরাম পাবেন। এছাড়া হালকা ডিজাইনের স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, টারসেল হ্যান্ড ও মেশিন এমব্রয়ডারি, ব্রাশ পেইন্ট করা এমন পোশাক বেছে নিলে দেখতে ভালো লাগবে।
জুতা যা পরবেন
পোশাকের সঙ্গে জুতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এমন জুতা পরা উচিত যাতে বৃষ্টি এলেও কাদাপানি পায়ে না লাগে। এই মৌসুমে চামড়া, কাপড় ও আঁটসাঁট জুতা বাদ দিয়ে প্লাস্টিকের জুতাই বেছে নিলে ভালো। তবে অনেকেই প্লাস্টিকের জুতায় স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন না। তারা প্লাস্টিকের সোলের জুতা বেছে নিতে পারেন। আর্টিফিশিয়াল লেদারের জুতাও পরতে পারেন।
এখন হোক হালকা সাজ
বাইরে রোদ-বৃষ্টির খেলা কারণে সাজের উপকরণটি অবশ্যই পানিরোধক হতে হবে। দিনের গরমে গাঢ় সাজ একেবারেই বেমানান। এজন্য হালকা মেকআপ করে নিয়ে তাতে চোখে কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক ব্যবহার করে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে টিপ দিতে পারেন। শরতের হালকা সাজেই রাখুন স্নিগ্ধভাব।
এসএকেওয়াই/কেএসকে/এএসএম